সদ্য প্রকাশিত

হেল্পিং হ্যান্ড 

সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার

ভয়ংকর কিছু একটা ঘটে গেছে।
বাড়ির গেটের সামনে পা রাখা মাত্রই মনে হলো এ বাড়ির ভেতর রক্ত হিম করা কিছু একটা ঘটে গেছে। কেন মনে হলো জানি না। কিন্তু আমার সিক্সথ্ সেন্স বলছে, এ বাড়িতে যা ঘটে গেছে তার ফলাফল ভালো কিছু হবে না।

 

“কাজটা খুব সহজ। একদম ঘাবড়াবেন না। এটা দিয়ে একটা দাঁত তুলে আনতে হবে। সামনের পাটি থেকে আনলেই হবে।”

যদি এখন বাসা থেকে পালিয়ে যাই তাহলে আমাকে হাতকড়া পড়ানো হতে পারে। ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে আছি। এটাই হয়তোবা এই সোফায় বসার শেষ অভিজ্ঞতা আমার। ওসি সাহেব চিলেকোঠার রুম পরিদর্শন করে একটু পরেই হয়তো এখানে আসবেন। আমার পার্সটা কফি টেবিলের উপর রাখা ছিল। সেটা ভাইব্রেট করছে। আমার উচিত এখানে নড়াচড়া না করে চুপচাপ বসে থাকা। তারপরও আমি পার্সটা হাতে নিয়ে ভেতর থেকে মোবাইলটা বের করলাম।

 

গল্পকথক

কয়েস সামী

আমি একজন লেখক। তবে পেশাদার নই। শখের বশে লেখালেখি করি।  শত ব্যস্ততার ভেতর থেকেও এ কাজটা চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো গল্প বা উপন্যাস লিখতে পারলে আনন্দিত হই। কোনোকিছু সৃষ্টি করতে পারার আনন্দে উদ্বেলিত হই। আমি সেই আনন্দে অবগাহনের জন্য বারবার লেখার চেষ্টা করি, করে যাবো। আমার বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। হ্যাপি রিডিং!

প্রকাশিত

বেস্ট সেলার

হ্যাপি রিডারস্

বেস্ট সেলার বইসমূহ

হতে চাও গণিতের জাদুকর?

বইটি মেন্টাল বা স্পিড ম্যাথ নিয়ে। এটি পাঠ করলে শিক্ষার্থীরা ক্যালকুলেটরের আগেই ছোট ছোট যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, বর্গ, শতাংশ- এসব সমস্যার সমাধান করতে পারবে। গণিতের ছোট ছোট কৌশলগুলো বইতে এমন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা সহজেই তা বুঝতে পারে এবং গণিতের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। বই উল্লিখিত কয়েকটি কৌশল দেখা যাক।
৯৬ × ৯৭ =? 

 

প্রথাগত গুণের নিয়ম ছাড়াই গুণটা করা হবে।
প্রথমে ১০০ থেকে দুটো সংখ্যা বিয়োগ দেই। ১০০-৯৬ = ৪, ১০০ – ৯৭ = ৩।
৯৬ × ৯৭ =?
৪ ৩
এবার, কোনাকোনি বিয়োগ। ৯৭ থেকে ৪ অথবা ৯৬ থেকে ৩ বিয়োগ। উভয় ক্ষেত্রেই উত্তর ৯৩। এটা আমাদের উত্তরের প্রথম অংশ।
৯৬ × ৯৭ = ৯৩
৪ ৩
এখন, ৩ × ৪ = ১২।
তাহলে, ৯৬ × ৯৭ = ৯৩১২।
এবার জেনে নেয়া যাক কীভাবে ৪১ এর বর্গ করা যায়:
স্টেপ- ১: আগের সংখ্যাটির বর্গ করে নেবো। এখানে ৪১ এর আগের সংখ্যা ৪০। আর ৪০ এর এককের ঘরে যেহেতু ০ আছে তাই আমরা সহজেই ৪০ এর বর্গ করে নিতে পারি: ৪০ X ৪০ = ১৬০০।
স্টেপ- ২: যে সংখ্যাটির বর্গ করবো তার সাথে তার পূর্বের সংখ্যা যোগ করে নিই: ৪১ + ৪০ = ৮১।
স্টেপ- ৩: দুটো সংখ্যা যোগ করে নেই: ১৬০০ + ৮১ = ১৬৮১।
অতএব, ৪১ এর বর্গ অথবা ৪১ X ৪১ = ১৬৮১।
এমন সব মজাদার কৌশল দিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। এটি নিয়ে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির একাডেমিক কাউন্সিলর শ্রদ্ধেয় সকাল রায় লিখেছেন –
সংখ্যার নানা জাদুকরী বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি সেই জাদুর পিছনে গণিতের কোন বিষয় কাজ করছে সেটাও চমৎকারভাবে উঠে এসেছে ‘হতে চাও গণিতের জাদুকর’ বইতে। শুধু শিশু কিশোরদের জন্য নয় বড়রাও পড়লে অবাক হবেন সামান্য যোগ বিয়োগ গুণ ভাগের সাহায্যে মজার সব জাদু দেখে।

সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার: টিউশনি

লাবিবাকে পড়াতে গিয়ে আবীর পড়ে গেল অদ্ভুত এক সমস্যায় । লাবিবা তাকে পরিচয় করিয়ে দিল রহস্যময় চরিত্র মিস ব্রুটালের সাথে । মিস ব্রুটাল । রহস্যের সমাধান করতে না করতেই আত্মহত্যা করে বসলাে আবীরের প্রেমিকা রাইসা। রাইসার সুইসাইড নােট চিঠি হয়ে পৌছালাে আবীরের কাছে। চিঠি পড়ে জানা গেল রাইসার আত্মহত্যার প্ররােচনাকারী কে । আবীর কি প্রতিশােধ নিতে পেরেছিল রাইসা হত্যার? আবীর কি পেরেছিল মিস ব্রুটাল রহস্যের উদঘাটন করতে?

কাস্টমার সার্ভিসের কলাকৌশল

ব্যবসায় নেমেই আমরা লাভ-লোকসানের হিসেব-নিকেশ করি। অথচ এটা বুঝি না যে লাভ-লোকসান হলো কাস্টমার সার্ভিসের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া মাত্র। ছোট ছোট দোকান-পাট থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্রই কাস্টমার সার্ভিসে ভীষণ রকমের অবহেলার ছাপ চোখে পড়ে। এমন কি ব্যাংকিং সেক্টরেও কাস্টমার সার্ভিসের মান নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে। ডিজিটাল এই যুগে অনলাইন ব্যবসা দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। অথচ এই সেক্টরেও কাস্টমার সার্ভিসে আশংকাজনক দুর্বলতা গ্রাহকমাত্রেরই চোখে পড়ে। 
আমাদের দেশে এ বিষয়ে যেমন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার অভাব রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভালো বইয়ের অভাব। প্রশিক্ষণের সাথে অনেক সময় খরচের সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে বলে কাস্টমার সার্ভিস নিয়ে স্বল্প মূল্যের একটা বই পারে বিরাট রকমের সহযোগিতা করতে। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে হোক অথবা ব্যক্তিগত ভাবে, আমরা খুব সহজেই বইয়ের সাহায্য নিতে পারি নিজেকে কাস্টমার সার্ভিসের উপর পারদর্শী করতে। 
আপনি ব্যাংকার হোন বা ব্যবসায়ী, কল সেন্টারে কর্মরত হোন বা অনলাইনে ব্যবসা করেন এ বইটি পড়লে নিঃসন্দেহে আপনার কাজে দেবে। মোট কথা, আপনার যে কোনো রকমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সেলসম্যান বা কর্মচারীদের বইটি অবশ্য পাঠ্য করলে কাস্টমার সার্ভিসের মান বৃদ্ধি পাবে নিঃসন্দেহে।

বইটিতে নিচের বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে: 
১. কাস্টমার সার্ভিসের মৌলিক বিষয়।
২. কাস্টমারের সাথে কার্যকর যোগাযোগ করার পদ্ধতি।
৩. মুখোমুখি সার্ভিস দেয়ার পদ্ধতি।
৪. টেলিফোনে সার্ভিস দেয়ার পদ্ধতি।
৫. অনলাইনে ও ফেসবুকে সার্ভিস দেয়ার পদ্ধতি।
৬. অভিযোগকারী বিরক্ত কাস্টমারকে সামলাবার উপায়।
৭. কাস্টমারের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ার পদ্ধতি।
৮. কাস্টমারকে চমৎকৃত করার পদ্ধতি। 
৯. কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা। 
১০. বিখ্যাত কিছু প্রতিষ্ঠানের কাস্টমার সার্ভিসের বিখ্যাত উদাহরণ।
১১. কাস্টমার সার্ভিস নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য।
দেরি না করে আজকেই অর্ডার করে রাখুন।

{

উপন্যাস হচ্ছে ভ্রমণের মতো। আনন্দ ভ্রমণ। পাঠককে সঙ্গে নিয়েই লেখক এই ভ্রমণে বের হন। এই ভ্রমণে যদি আনন্দ না থাকে, শিহরন আর কৌতুহল না থাকে, তাহলে ভ্রমণ পানশে হয়ে যায়। … বুদ্ধদেব বসু তাই উপন্যাস শুরু করেন এভাবে- ‌”হ’য়ে গেছে-ওটা হ’য়ে গেছে- এখন আর কিছু বলার নেই।”
কী হয়ে গেছে, কেন হয়ে গেছে- না জানা পর্যন্ত পাঠকের শান্তি নেই।
এই আর্টটা কয়েস সামীর মধ্যে আছে। তার সঙ্গে ভ্রমণ তাই আনন্দদায়ক। শুরু করলে অপরূপ গন্তব্যে আপনি পৌঁছে যাবেন।

– মাইনুল এইচ সিরাজী, কথা সাহিত্যিক।

প্রকাশিতব্য বই

ম্যারেজ এনিভার্সারি

এই গল্পটাকে অনুবাদ বলতে পারেন। আবার নাও পারেন। কারণ আমি আমার মতো করে লেখার চেষ্টা করেছি। কিছু কিছু জায়গায় হুবুহু বাংলা করেছি আবার বেশির ভাগ জায়গাতেই মূল লেখা থেকে খানিকটা সরে এসে আমার মতো করে লিখেছি। তবে বাক্য গঠনে আমি মোটেও মূল লেখককে অনুসরণ করিনি। চরিত্রদের চারপাশের পরিবেশটাও আমার দেশের মতো করার চেষ্টা করেছি।
এবারে মূল গল্পের লেখকের নাম বলা যাক। তিনি আমার অত্যন্ত প্রিয় ফ্রিদা ম্যাকফেডেন। এর আগেও আমি তার আরেকটা গল্প অবলম্বনে উপন্যাস লিখেছিলাম, যার নাম ছিল- হেল্পিং হ্যান্ড। এবারে তার “দ্যা গিফট” নিয়ে কাজ করলাম। জানি না লেখাটি আপনাদের কেমন লাগবে। তবে আমার বেশ ভালো লেগেছে বলেই এই গল্পটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। তাই বলে এটাকে নিজের মৌলিক লেখা বলেও দাবী করছি না।
যারা যারা এই ই-বুকটি পড়বেন তাদের কাছে অনুরোধ থাকলো, বইটি আপনাদের কাছে ভালো লাগলে নিজের বই পড়–য়া বন্ধুদের এটি পড়তে বলবেন। জয় হোক পাঠকের, জয় হোক বইয়ের।
আরেকটা কথা বলে রাখি, এই বইটি কেবল ই-বুক আকারে বিতরণ করা হবে। এর কোনো হার্ড কপি প্রকাশিত হবে না।

সংবাদপত্রে আমি!

১৭ নভেম্বর ২০১৮

দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার

 

বিশেষ তরুণ ‘দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০১৮’ পেলেন কথাসাহিত্যিক কয়েস সামী ও রফিকুজ্জামান রণি।

সম্প্রতি এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এবার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে সামীর লাকি থার্টিন আর রণির দুই শহরের জানালা গল্পের পাণ্ডুলিপি।

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

‍‘লেখকরা অবলীলায় অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে’

 

কয়েস সামী, পেশায় ব্যাংকার। পেশাগত জীবনের পাশাপাশি বই পড়া ও লেখায় তার আগ্রহের কমতি নেই। শত ব্যস্ততা দূরে ঠেলে ২০১৬ সাল থেকে পাঠককে বই উপহার দিয়ে আসছেন। উপন্যাসের পাশাপাশি ছোটদের জন্য লিখছেন মজার ছড়ার বই। তরুণ এ লেখকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. ইমরান হোসেন

পাঠকের সঙ্গে নিজেকে কীভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?

৬ অক্টোবর, ২০১৭

‍গল্প: পাসওয়ার্ড

 

এ লেখাটা ভূতগ্রস্ত বা ভূতে ধরা অবস্থায় রচিত। তাই এই গল্প বিশ্বাস করা, না-করা—সবটাই আপনাদের ব্যক্তিগত অধিকারে। এমনও হতে পারে, লেখাটা শেষ করে আমি নিজেও হয়তো এর কথাগুলো বিশ্বাস করব না।

যোগাযোগ করুন

kais_shami777bd@yahoo.com