তেরটি চমৎকার গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এই বইটি। এক একটি গল্প একেকটি রকমের। তবে একবার শুরু করলে কোনো গল্পই শেষ না করে রাখতে পারবেন না। 

লাবীবাকে পড়াতে গিয়ে আবীর পড়ে গেল অদ্ভুত একটা সমস্যায়। লাবিবা তাকে পরিচয় করিয়ে দিলো রহস্যময় মিস ব্রুটালের সাথে। মিস ব্রুটাল রহস্যের সমাধান করতে না করতেই আত্মহত্যা করে বসলো আবীরের প্রেমিকা রাইসা। 

নর্ডস্ট্রম আমেরিকার একটা বিখ্যাত ডিপার্টমেন্টাল স্টোর যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০১ সালে। ১৯৭৫ সালের কোনো একদিন একজন ব্যক্তি তার ট্রাকের পেছনে সদ্য কেনা চারটা টায়ার ফেরত দেয়ার জন্য সেই দোকানে এসে হতভম্ব হয়ে যায়। টায়ারের দোকানটি উধাও! সেখানে দাঁড়িয়ে আছে নর্ডস্ট্রমের সদ্য খোলা একটা চেইন শপ। নর্ডস্ট্রমের একজন কেরানি বিষয়টি জেনে দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং তাকে জানালেন যদিও তারা টায়ার বিক্রি করে না তবু তারা তার টায়ারগুলো রেখে টাকাটা ফেরত দিবে। শুধু মুখের কথা নয়, তারা সত্যি সত্যি লোকটির কাছ থেকে টায়ারগুলো রেখে তাকে টাকা ফেরত দিয়েছিল!
কী? অবাক হচ্ছেন, তাই না? ভাবছেন এমন বোকামী করলে ব্যবসায় তো কয়েক দিনেই লালবাতি জ¦লবে! নর্ডস্ট্রম কিন্তু আজ এতো বছর পরেও বীর দর্পে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কাস্টমারের জন্য চারটা টায়ারের দাম ফেরত দেয়ার বিনিময়ে তাদের কোম্পানিকে তারা কিংবদন্তীতে পরিণত করতে পেরেছে। আজ ৪৫ বছর পরেও আমরা তাদের সেই টায়ার ফেরত নেয়ার গল্প করছি!
আপনি ব্যাংকার হোন বা ব্যবসায়ী, কল সেন্টারে কর্মরত হোন বা অনলাইনে ব্যবসা করেন এ বইটি পড়লে নিঃসন্দেহে আপনার কাজে দেবে। মোট কথা, আপনার যে কোনো রকমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সেলসম্যান বা কর্মচারীদের বইটি অবশ্য পাঠ্য করলে কাস্টমার সার্ভিসের মান বৃদ্ধি পাবে নিঃসন্দেহে। 

মাঝে মাঝে আমরা এমন কিছু মানুষ দেখে চমকিত হই। যে মানুষগুলোকে যতো কঠিন যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ দেওয়া হচ্ছে নিমিষেই সে মুখে মুখে সেগুলোর ফলাফল বলে দিচ্ছে। এটা অবাক হওয়ার বিষয়ই বটে, অবাক হয়ে মাথা চুলকাই আর ভাবি কীভাবে সম্ভব!!!
.
সে মানুষগুলোর মতো ক্যালকুলেটরের আগেই যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ, বর্গ, শতাংশ – এসব মুখে মুখে করে দিয়ে বন্ধুদের অবাক করে দিতে চাইলে এই বইটি আপনার জন্য।
এই বইটিতে আছে সহজ কিছু কৌশল যা কয়েকবার চর্চা করলেই আপনি হয়ে উঠতে পারবেন জীবন্ত এক ক্যলকুলেটর।
.
এমন সব চমৎকার টেকনিক দিয়ে সাজানো “হতে চাও গণিতের জাদুকর” বইটি। আপনার স্কুলের পরীক্ষা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন হিসেব-নিকেশে এই কৌশলগুলো কাজে লাগাতে পারবেন খুব সহজেই। বইটি কাজে লাগবে শিক্ষকদেরও। আপনারা এই মজার নিয়মগুলো শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে দিয়ে তাদের গণিতের ভয় দূর করার মাধ্যমে গণিত চর্চায় আগ্রহী করে তুলতে পারবেন।